রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম জানা দরকার কারণ চাকরি জীবনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া বা ব্যক্তিগত কারণে চাকরি ছাড়ার প্রয়োজন প্রায়ই দেখা দেয়। এ সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিকভাবে রিজাইন লেটার বা চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদন পত্র লেখা। অনেকেই হুটহাট চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, নিয়ম অনুযায়ী লেখা একটি রিজাইন লেটার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই গাইডে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব – রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম, ফরম্যাট, উদাহরণ, চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদন পত্রের কাঠামো, এবং সাধারণ ভুলত্রুটি।
রিজাইন লেটার কী এবং কেন দরকার?
- রিজাইন লেটার হলো চাকরি ছাড়ার আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র, যেখানে কর্মচারী তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয় যে তিনি চাকরি থেকে সরে দাঁড়াতে চান।
- এটি কেবল একটি লিখিত কাগজ নয়, বরং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সম্পর্ক বজায় রাখার অন্যতম সেতুবন্ধন।
- চাকরি ছাড়ার সময় ভদ্র ও প্রফেশনালভাবে জানানো গুরুত্বপূর্ণ, যাতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো থাকে।
কেন রিজাইন লেটার জরুরি?
1. প্রফেশনালিজম বজায় রাখা
2. আইনগত প্রমাণ রাখা
3. অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট পাওয়ার সুযোগ তৈরি
4. ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে কাজ করা
5. কর্মজীবনে পজিটিভ ইমপ্রেশন তৈরি করা
রিজাইন লেটার লেখার মূল নিয়ম
রিজাইন লেটার সবসময় সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং ভদ্র ভাষায় লেখা উচিত।
রিজাইন লেটারের আবশ্যক অংশসমূহ:
1. তারিখ – যেদিন আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন।
2. প্রাপকের নাম ও পদবী – বস বা এইচআর ম্যানেজারের নাম।
3. বিষয় – স্পষ্টভাবে উল্লেখ (যেমন: রিজাইন লেটার / চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদন)।
4. মূল বক্তব্য – কেন চাকরি ছাড়ছেন এবং কোন তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
5. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ – প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানানো।
6. সিগনেচার ও নাম – আবেদনকারীর স্বাক্ষর এবং পূর্ণ নাম।
চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্রের নমুনা
চাকরির ধরন ভেদে রিজাইন লেটার বা অব্যাহতির আবেদনপত্রের ভাষা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। নিচে সরকারি চাকরি, কোম্পানির চাকরি, স্কুল-কলেজের চাকরি ও ব্যাংকের চাকরি–এই চার ধরনের জন্য আলাদা আলাদা নমুনা দরখাস্ত দেওয়া হলো।
আরও পড়ুনঃ সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ২০২৫
১.সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র (Government Job Resignation Letter in Bangla)
তারিখ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরাবর
সচিব
[মন্ত্রণালয়ের নাম]
বাংলাদেশ সরকার
বিষয়: সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন।
জনাব,
সশ্রদ্ধ নিবেদন এই যে, আমি [আপনার নাম], [আপনার পদবী], [অফিস/বিভাগের নাম]-এ কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত কারণে আমি আমার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে ইচ্ছুক। তাই আগামী [তারিখ] হতে আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
বিনীত
[আপনার নাম]
[পদবী]
[যোগাযোগ নম্বর]
আরও পড়ুনঃ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন
২.কোম্পানির চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র (Company Job Resignation Letter in Bangla)
তারিখ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরাবর
ম্যানেজার (এইচআর)
[কোম্পানির নাম]
বিষয়: কোম্পানির চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি [আপনার নাম], [পদবী] পদে [কোম্পানির নাম]-এ গত [সময়কাল] ধরে কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত কারণে আমি আর এখানে চাকরি চালিয়ে যেতে পারছি না। তাই আগামী [তারিখ] হতে আমাকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
বিনীত
[আপনার নাম]
[পদবী]
[মোবাইল নম্বর]
আরও পড়ুনঃ অনলাইন শিক্ষার ভবিষ্যৎ ও শিক্ষাব্যবস্থার নতুন দিগন্ত
৩.স্কুল-কলেজের চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র (School/College Teacher Resignation Letter in Bangla)
তারিখ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরাবর
প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ
[স্কুল/কলেজের নাম]
বিষয়: শিক্ষকতার চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি [আপনার নাম], [বিষয়ের নাম] বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত কারণে আমি শিক্ষকতার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে চাই। তাই আগামী [তারিখ] হতে আমাকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি কামনা করি।
অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
বিনীত
[আপনার নাম]
শিক্ষক
[যোগাযোগ নম্বর]
আরও পড়ুনঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে AI এর ব্যবহার
৪.ব্যাংকের চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র (Bank Job Resignation Letter in Bangla)
তারিখ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরাবর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
[ব্যাংকের নাম]
বিষয়: ব্যাংকের চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি [আপনার নাম], [পদবী] পদে [ব্যাংকের নাম]-এ [সময়কাল] ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। ব্যক্তিগত কারণে আমি আমার চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে চাই। তাই আগামী [তারিখ] হতে আমাকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি। এই ব্যাংকে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে বাধিত করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
বিনীত
[আপনার নাম]
[পদবী]
[যোগাযোগ নম্বর]
আরও পড়ুনঃ অব্যাহতি পত্র
চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র লেখার টিপস
- ভদ্র ও প্রফেশনাল ভাষা ব্যবহার করুন।
- সবসময় নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করুন।
- কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উত্তম।
- প্রতিষ্ঠানের বা বসের প্রতি নেতিবাচক কিছু লিখবেন না।
- আবেদনপত্র সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট রাখুন।
- রিজাইন লেটার লেখার সময় যে ভুলগুলো এড়াতে হবে
- আবেগপ্রবণ বা নেতিবাচক ভাষা ব্যবহার করবেন না।
- বস বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখবেন না।
- অস্পষ্ট তারিখ বা কারণ উল্লেখ করবেন না।
- অতিরিক্ত দীর্ঘ করবেন না।
- অফিসিয়াল টোন বজায় রাখুন।
চাকরি ছাড়ার আগে করণীয়
১. নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করুন
- কেন চাকরি ছাড়ছেন (ভালো সুযোগ, ব্যক্তিগত কারণ, উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি) সে বিষয়ে নিশ্চিত হোন।
- আবেগে নয়, পরিকল্পনা করেই সিদ্ধান্ত নিন।
২. চাকরির চুক্তিপত্র বা নিয়মাবলি দেখে নিন
- আপনার নিয়োগপত্র বা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী কত দিনের নোটিশ দিতে হবে তা দেখে নিন।
- যদি নোটিশ না দেন, তবে বেতন কেটে রাখা বা আইনগত জটিলতা তৈরি হতে পারে।
৩. রিজাইন লেটার লিখুন
- ভদ্র ও প্রফেশনাল ভঙ্গিতে লিখিত রিজাইন লেটার দিন।
- সরাসরি বস বা কর্তৃপক্ষকে জমা দিন।
- প্রয়োজনে রিসিপ্ট কপি সংগ্রহ করে রাখুন।
৪. নোটিশ পিরিয়ড মেনে চলুন
- চুক্তি অনুযায়ী ৩০ দিন বা ৩ মাস আগে নোটিশ দিন।
- নোটিশ না মানলে সেই সময়ের সমপরিমাণ বেতন কেটে নিতে পারে।
৫. অসমাপ্ত কাজ গুছিয়ে দিন
- যে কাজগুলো আপনার হাতে আছে তা শেষ করার চেষ্টা করুন।
- অসমাপ্ত কাজ সহকর্মীর কাছে হস্তান্তর করুন।
৬. হ্যান্ডওভার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন
- অফিসের ফাইল, নথি, প্রজেক্ট বা তথ্য সঠিকভাবে হস্তান্তর করুন।
- কম্পিউটার, ইমেইল বা অফিস সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয় তথ্য ক্লিয়ার করুন।
৭. অফিসের সম্পদ ফেরত দিন
- ল্যাপটপ, আইডি কার্ড, সিম কার্ড, ডকুমেন্ট ইত্যাদি ফেরত দিন।
- কিছু ক্ষেত্রে Clearance Certificate সংগ্রহ করতে হতে পারে।
৮. শেষ মাসের বেতন ও বকেয়া পরিশোধ নিশ্চিত করুন
- শেষ মাসের বেতন, ওভারটাইম, ইনসেনটিভ, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি পরিশোধ হচ্ছে কিনা দেখে নিন।
- প্রয়োজনে HR ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলুন।
৯. অভিজ্ঞতা সনদ (Experience Certificate) সংগ্রহ করুন
- ভবিষ্যতের চাকরির জন্য অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- ভদ্রভাবে HR বা বসের কাছে অভিজ্ঞতা সনদ চাইতে পারেন।
১০. প্রফেশনাল সম্পর্ক বজায় রাখুন
- খারাপ মনোভাব নিয়ে চাকরি ছাড়বেন না।
- বস, সহকর্মী ও HR-এর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন।
- ভবিষ্যতে তাদের রেফারেন্স কাজে লাগতে পারে।
চাকুরি থেকে অব্যাহতির কত দিন আগে জানাতে হয়?
বাংলাদেশে চাকরি থেকে অব্যাহতির (Resignation) আগে কত দিন আগে জানাতে হবে, তা নির্ভর করে আপনি সরকারি চাকরিতে আছেন নাকি বেসরকারি (প্রাইভেট/কোম্পানি) চাকরিতে আছেন তার উপর।
সরকারি চাকরি
- সরকারি চাকরিতে সাধারণত ৩ মাস আগে (৯০ দিন আগে) লিখিত নোটিশ দিয়ে অব্যাহতির আবেদন করতে হয়।
- কিছু ক্ষেত্রে (যেমন: পরীক্ষামূলক সময়কাল বা চুক্তিভিত্তিক চাকরি) ১ মাস আগে নোটিশ দিলেই যথেষ্ট।
- সরকারি চাকরির নিয়মাবলি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত থাকে।
বেসরকারি (প্রাইভেট) চাকরি
- কোম্পানি, স্কুল-কলেজ বা অন্যান্য প্রাইভেট সেক্টরে এটি প্রতিষ্ঠানভেদে আলাদা হতে পারে।
- তবে শ্রম আইন অনুযায়ী—
- যদি কর্মীর স্থায়ী চাকরি হয়, তাহলে সাধারণত ৩০ দিন আগে লিখিত নোটিশ দিতে হয়।
- আর যদি কর্মী অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক হন, তবে ১৪ দিন আগে জানালেই যথেষ্ট।
বিশেষ দিক
- কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের অফার লেটার/চুক্তিপত্রে নির্দিষ্ট নোটিশ পিরিয়ড (যেমন ১ মাস বা ২ মাস) উল্লেখ করে রাখে। সে ক্ষেত্রে সেটি মানতে হয়।
- যদি নোটিশ পিরিয়ড না মেনে তাড়াহুড়ো করে চাকরি ছাড়তে চান, তবে সাধারণত সেই সময়ের বেতনের সমপরিমাণ টাকা কর্তৃপক্ষকে প্রদান করতে হয়।
সুতরাং সংক্ষেপে বলা যায়,
- সরকারি চাকরি → সাধারণত ৩ মাস আগে
- প্রাইভেট চাকরি → সাধারণত ১ মাস আগে
FAQ – রিজাইন লেটার ও অব্যাহতির আবেদনপত্র নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন
1. রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম কী?
রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম হলো চাকরি ছাড়ার সময় প্রফেশনাল ও ভদ্রভাবে আনুষ্ঠানিক চিঠি লেখার প্রক্রিয়া।
2. রিজাইন লেটার কখন লিখতে হয়?
চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে, নিয়মিত নোটিশ পিরিয়ডের আগে রিজাইন লেটার লিখা উচিত।
3. রিজাইন লেটার লেখার নিয়মে নোটিশ পিরিয়ড কত দিন হতে হবে?
সাধারণত ২ সপ্তাহের নোটিশ দেওয়া হয়, তবে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
4. রিজাইন লেটার লেখার সময় ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
ভদ্র, প্রফেশনাল ও সংক্ষিপ্ত ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
5. রিজাইন লেটারে কি চাকরি ত্যাগের কারণ উল্লেখ করা আবশ্যক?
না, সংক্ষেপে বা প্রয়োজনমতো কারণ লিখুন; নেতিবাচক মন্তব্য এড়ানো উত্তম।
6. রিজাইন লেটার লেখার নিয়মে কৃতজ্ঞতা কিভাবে দেখানো যায়?
কাজের অভিজ্ঞতা ও সুযোগের জন্য ধন্যবাদ জানানো উচিত, যেমন: “I am grateful for the opportunities…”
7. রিজাইন লেটারে হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করা কি আবশ্যক?
হ্যাঁ, ট্রানজিশন সহজ করতে এটি উল্লেখ করা ভালো।
8. রিজাইন লেটার কতটা দীর্ঘ হওয়া উচিত?
সাধারণত ৩–৪ প্যারাগ্রাফ যথেষ্ট; খুব দীর্ঘ লেখা দরকার নেই।
9. রিজাইন লেটার লেখার নিয়মে হেডার কীভাবে লিখবেন?
আপনার নাম, পদবী, বিভাগ, তারিখ এবং প্রাপকের নাম, পদবী, কোম্পানির নাম উল্লেখ করুন।
10. রিজাইন লেটার কি ইমেইলে পাঠানো যায়?
হ্যাঁ, অনেক কোম্পানি ইমেইল রিজাইনেশন গ্রহণযোগ্য।
11. রিজাইন লেটারে সরাসরি “I resign” লিখা যায় কি?
হ্যাঁ, তবে ভদ্রভাবে লিখুন: “I am writing to formally resign from my position …”
12. রিজাইন লেটার লেখা না হলে সমস্যা হতে পারে কি?
চাকরি ছাড়ার তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয় না, যা ভবিষ্যতে রেফারেন্সে সমস্যা করতে পারে।
13. রিজাইন লেটারের শেষ কোথায় সাইন করবেন?
চিঠির শেষে “Sincerely, [Your Name]” দিয়ে সাইন করুন।
14. রিজাইন লেটার পাঠানোর আগে কি ম্যানেজারের সাথে কথা বলা উচিত?
হ্যাঁ, এটি প্রফেশনাল এথিকস অনুযায়ী করা উত্তম।
15. রিজাইন লেটারে নেতিবাচক মন্তব্য করা উচিত কি?
না, সবসময় পজিটিভ বা নেট্রাল থাকা ভালো।
16. ইমেইলে লেটার পাঠানোর জন্য সাবজেক্ট লাইন কী হতে পারে?
উদাহরণ: “Resignation – [Your Name], [Your Position]”
17. রিজাইন লেটার লেখার নিয়মে কপি রাখা জরুরি কি?
হ্যাঁ, ভবিষ্যতের রেফারেন্স বা আইনি কারণে কপি রাখা উত্তম।
18. রিজাইন লেটারে শেষ কাজের তারিখ কিভাবে উল্লেখ করবেন?
> “effective from [Last Working Date]” – স্পষ্টভাবে দিন উল্লেখ করুন।
19. রিজাইন লেটার দেওয়ার পর কি অবিলম্বে চলে যাওয়া যাবে?
না, নোটিশ পিরিয়ড মেনে শেষ দিন পর্যন্ত থাকা প্রয়োজন।
20. রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম মেনে চলার উপকারিতা কী?
এটি প্রফেশনাল ইমপ্রেশন রাখে, ট্রানজিশন সহজ করে এবং ভবিষ্যতের রেফারেন্সে সমস্যা কমায়।
উপসংহার
চাকরি জীবনে রিজাইন করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এটি করতে হবে সঠিক নিয়ম ও প্রফেশনাল উপায়ে। সরকারি চাকরি, কোম্পানি, স্কুল-কলেজ বা ব্যাংক-যেখানেই হোক, একটি সুন্দরভাবে লেখা অব্যাহতির আবেদনপত্র আপনার প্রফেশনালিজমের পরিচয় বহন করে। তাই সবসময় ভদ্র ভাষায়, স্পষ্ট তারিখ উল্লেখ করে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রিজাইন লেটার লিখুন।
আরও পড়ুনঃ


